- মো: লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি:
মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরেও পুনরায় ৩য় সাধারণ সভার মুলতবি সভা ডেকেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) লেকচারার অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেস'র ফোরামের বিগত কার্যনির্বাহী কমিটি । বিগত ২০২২-২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩১জুলাই। বাকৃবি লেকচারার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ফোরামের বিগত কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে এরূপ অনিয়মের অভিযোগ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক পপি খাতুন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, লেকচারার অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেস'র ফোরামের বিগত কার্যিনর্বাহী কমিটি সাংগঠনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্ব সংঘঠিত ৩য় সাধারণ সভার মুলতবি সভা পুনরায় আগামী ১৭ আগস্ট ডেকেছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক আশিক মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ওই সভার জন্য আহ্বান করা হয়। পাশাপাশি সংগঠনটির গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১২ অনুযায়ী নতুন কার্যিনর্বাহী কমিটির দায়িত্বভার হস্তান্তর ও গ্রহণ প্রক্রিয়া কোন ক্রমেই জুলাই মাস অতিক্রম করবে না। কিন্তু সদ্য সাবেক কমিটি আগস্টের মাঝামাঝি সময় পর্যন্তও পরবর্তী বছরের জন্য নতুন কোন কমিটি-২০২৩-২৪ গঠন করে নি। এমতাবস্থায় বাকৃবির প্রভাষক এবং সহকারী অধ্যাপকদের মাঝে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাঁদের শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটছে।
অভিযোগকারী পপি খাতুন আরোও বলেন , ১৯ সদস্য বিশিষ্ট সদ্য সাবেক কমিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৭ এর ২য় প্যারা অনুযায়ী বিষয়বস্তু নির্বাচনী কমিটির কোন সদস্য পরবর্তীতে কার্যিনর্বাহী কমিটির সদস্য পদ ব্যতীত অন্য কোন সম্পাদকীয় পদে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। এদিকে বিগত কমিটির সভাপতি ফিজিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ সুজন গত ২০২১-২২ কার্যিনর্বাহী কমিটির বিষয়বস্তু নির্বাচন কমিটির একজন সদস্য হয়েও পরবর্তী কমিটির সভাপতির পদ দখল করেন। যা সংগঠনটির গঠনতন্ত্রের অবমাননা করেছে।
লেকচারার অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর'স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মো. আশিক মিয়া বলেন, গত ২৩ জুলাই বিষয়বস্তু নির্বাচনী কমিটি গঠন করার জন্য সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়৷ কিন্তু ওই কমিটিতে বিষয়বস্তু নির্বাচনী কমিটির সদস্যা সংখ্যা আগের মতো বহাল থাকবে নাকি বৃদ্ধি করা হবে এই বিষয় নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হয়। এক পর্যায়ে সভার পরিস্থিতি প্রতিকূলে চলে গেলে আমরা সভাটি স্থগিত করতে বাধ্য হই৷ পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেই স্থগিত সভাটি পুনরায় ১৭ আগস্টে ডাকা হয়। বিষয়বস্তু নির্বাচনী কমিটির মাধ্যমে নতুন কমিটি তৈরি করাই এ সভা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। তবে ফোরামের গঠন্তন্ত্রের ১২-ধারা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ধারাটি অসম্পূর্ণ রয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন কমিটি দেওয়ার কথা বলা হলেও কোনো কারণে তা অতিক্রম করলে কি করতে হবে তার কোনো বর্ণনা দেওয়া নেই।
উল্লেখ্য, লেকচারার অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেস'র ফোরাম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একটি অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক এবং প্রগতিশীল সংগঠন। সংগঠনটির আদর্শ ও উদ্দেশ্য হল ন্যায়নীতির ভিত্তিতে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপকদের স্বার্থ সংরক্ষণের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশিত ভূমিকার নিশ্চয়তা বিধান করা।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন