মানছুর আলম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬১ কোটি ২৯ লাখ ৫০ হাজার বাজেট পাস হয়েছে। যারমধ্যে স্বাস্থ্যসেবায় মাথাপিছু বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে ৭৭ টাকা ৮ পয়সা। যাকে প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ তম সিন্ডিকেট সভায় ভিসি অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের সভাপতিত্বে এ বাজেট পাস হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭ হাজার ১৪১ জন শিক্ষার্থী, ২৬৫ জন শিক্ষক ও ৩ শত ৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ৬ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। যাকে প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগন্য বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল হালিম ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় কুবির মেডিকেলে স্বাস্থ্যসেবার মান খুবই নিম্ন। এখানে নাপা-স্যালাইন ও কিছু সর্দির ওষুধ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়না। তার উপর মাত্র ৬ লক্ষটাকা বরাদ্দই প্রমাণ করে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রশাসন কতটা উদাসীন।
ছাত্রপরামর্শক ও নির্দেশনা পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কিসের ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই। তবে আমাদের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যখাতে বেশি জোর দেয়া উচিত। তাই বাজেটটা আরেকটু বাড়াতে পারলে ভাল হত।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার বরাদ্দ অপ্রতুলতার সাথে একমত পোষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান খান।তিনি বলেন, আমাদের যে বাজেট দেয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। যদি আরেকটু বাড়ানো যেত আমরা বেটার সার্ভিস দিতে পারতাম। বর্তমানে বরাদ্দের ৪ লক্ষ টাকা দেয়া হয়েছে ঔষধ ক্রয়ের জন্য, ২ লক্ষ দেয়া হয়েছে ইন্সট্রুমেন্টের জন্য।
এছাড়াও তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলের জন্য ১২ রকমের ওষুধ ক্রয় করা হয়। যা দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা ছাড়া বিশেষ কোনো সেবা দেয়া সম্ভব হয়না।
এবারের মোট বাজেটের একটা উল্লেখযোগ্য অংশই চলে যাচ্ছে বেতন ভাতা বাবদ। যার পরিমাণ ৩৯ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। এছাড়াও পণ্য ও সেবা বাবদ ১৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গবেষণা বাবদ ২ কোটি টাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ৬ লক্ষ টাকা, পেনশন ও অবসর সুবিধা ৮ লক্ষ টাকা, মূলধন বাবদ ৪ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা, অন্যান্য অনুদান বাবদ ১৬ লক্ষ টাকা।
স্বাস্থ্যসেবায় বাজেট বৃদ্ধির বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের যে স্কেলে সেবা দেয়ার কথা সে স্কেলে সেবা দেয়ার জন্য এই পরিমাণ বরাদ্দ যথেষ্ট। তারপরও যদি বিশেষ কোনো পরিস্থিতির তৈরী হয় তাহলে আমরা বছরের মাঝামাঝি যে রিভাইস বাজেট দেয়া হয় সেখানে পরিমাণটা বৃদ্ধি করে দিবো।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন