প্রাণখুলে হাসুন; সুস্থ থাকুন
আপনার মুখের মিষ্টি হাসি দিয়ে যেমন আপনি অন্যকে খুশি করতে পারবেন ঠিক তেমনি আপনার এই মিষ্টি হাসির কারণেই আপনি একজন সুন্দর মনের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন। হাসি মানুষের জীবনে সবথেকে একটি ভালো অনুভূতি। একজন মানুষের জীবনে হাসির ভুমিকা অত্যাবশকীয়। কারণ হাসি এবং মানসিক স্বাস্থ্য একে অপরের পরিপূরক। সুন্দর হাসি মানুষকে আত্নবিশ্বাসী করে গড়ে তোলে।মানসিক দুশ্চিন্তা, রাগ, দুঃখবোধ,ব্যাথা, যেকোন দ্বন্দ্ব,শারীরিক সমস্যা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রের শক্তিশালী প্রতিষেধক হলো হাসি। ক্লান্ত মনকে স্তিমিত করে কাজে ফেরাতে হাসির বিকল্প নেই।আমাদের নার্ভকে শিথিল করে নতুন উদ্যমে জেগে তোলে। আমাদের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে,ক্ষমাশীল করে তোলে একমাত্র হাসি। আমাদের কর্মস্থল কাজে দায়িত্ব ও মনোযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি, মানুষের সঙ্গে আন্তরিকতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে এই হাসি।
হাসি অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। কর্মক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপায়ে, দলবদ্ধভাবে ও মানসিকভাবে শক্তি নিয়ে কাজ করতে হাসিখুশি থাকা খুবই জরুরি। যিনি যতটা হাসিখুশি থাকবেন, দিন শেষে তিনি নিজেকে ততটাই সুখী হিসেবে আবিষ্কার করবেন।
হাসির উপকারিতা ব্যাপক,
দেহে রোগ প্রতিরোধী এন্টিবডি তৈরিতে, হার্টের সমস্যা দূর করতে,বিষণ্ণতা ও মানসিক চাপ দূর করতে,রাগ দমনে ও সৌহার্দভাব বজায় রাখতে, দেহের ব্যথা দূর করতে,ক্যান্সার প্রতিরোধে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে,মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে,সামাজিক বন্ধন অটুট রাখতে,শ্বাসতন্ত্রের উপকারিতায়,ক্যালরি বার্ন করাতে,দীর্ঘায়ু পেতে,জীবনীশক্তি বাড়াতে,দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রের জন্য হাসির ভুমিকা অতুলনীয়।বলা হয় যে সকল মানুষ বেশি হাসতে পারেন না তারা তাদের ব্যক্তিগত জীবনেও নানা রকমের সমস্যায় থাকেন।হাসি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনি যখন হাসেন তখন আপনার দেহের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় এবং অক্সিজেন গ্রহণের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।আমাদের মস্তিষ্কের এনডোরফিন (হরমোন) নামের একটি কেমিক্যাল নিঃসরণ করে থাকে যা আমাদের দেহের ব্যথা দূর করে হাসি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে মানুষ যত বেশি হাসবে তার দেহের ব্যথা তত বেশি কমে। হাসি দেহকে ক্যান্সার রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। আমেরিকার ক্যান্সার ট্রিটমেন্ট সেন্টারে ক্যান্সার রোগীদের হাসানোর জন্য বিশেষ থেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। যা একজন ক্যান্সার রোগীর দেহের ব্যথা দূর করে ও মন ভালো রাখে।মানসিক চাপ দূর করে হাসি। তাই যখনই যেমন অবস্থায় থাকুন না কেন মন ভালো রাখতে ও মানসিক চাপ দূরে রাখতে হাসুন।কারণ হাসার কোন বিকল্প নেই, হাসতে শরীর ও মন দুটোই সুন্দর, সতেজ ও প্রানবন্ত থাকে। তাই বেশি বেশি হাসুন এবং সুস্থ দেহ গঠনের মাধ্যমে সুন্দর মনের অধিকারী হোন।
আতিয়া শারমিলা আঁখি
দপ্তর সম্পাদক,
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন