কেন আমরা কৃষি খাতে বেশি দৃষ্টি আরোপ করব?

 

কেন আমরা কৃষি খাতে বেশি দৃষ্টি আরোপ করব?


তসলিম উদ্দিন হায়দার তমাল!


বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশের ৭৭ শতাংশেরও বেশি শ্রমশক্তি গ্রামীণ এলাকায় বাস করে এবং গ্রামীণ এলাকার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ সরাসরি কৃষিতে নিযুক্ত । যার অর্থ আনুমানিক ৮৭ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার তাদের আয়ের অন্তত অংশের জন্য কৃষির উপর নির্ভর করে।যা দেশের শ্রমশক্তি বিবেচনায় খুব বৃহত একটি অংক। দুর্ভাগ্যবশত, ২০০০ সালে; আমাদের দেশে কৃষি শ্রমিক ছিল ৮০% [মোট জনসংখ্যার]। এটি এখন ৪০% এ নেমে এসেছে। এবং এটি অনুমান  করা হচ্ছে  যে ২০৩০ সালের মধ্যে; এটি ২৭% এ নেমে যাবে। এখন প্রশ্ন হলো এই বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যাকে আমরা কীভাবে কৃষি পণ্য সরবরাহ করব? সমীকরণটা দাঁড়াচ্ছে, জনসংখ্যা বাড়ছে > কৃষি খাত ও কৃষি শ্রমিক  কমছে। এই বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যাকে কৃষি সেবা দেওয়ার জন্য কীভাবে আমরা কৃষিজ উৎপাদন বাড়াতে পারি , সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে আমরা শিল্পায়নের উপর অনেক বেশি প্রচেষ্টা করছি।


"The Business Standard" নামক ই সংবাদপত্র থেকে প্রকাশিত ''Why Bangadesh agriculture loses out to productivity"  প্রতিবেদনে জানা গেছে  যে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত ৫-৬ বছরে মাটির তাপমাত্রা আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে । ফলে জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। তাহলে এই পরিস্থিতিতে এখন আমাদের কী করা উচিত? প্রাথমিকভাবে  আরও উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের ফসল নির্বাচন করা উচিত, যা মাঠ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। আমাদের কৃষিখাতে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। সৌভাগ্যবশত,  কৃষি ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ১০৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। টেকসই চাষ পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হচ্ছে। ফলন বাড়াতে এবং 'দ্রুত পাকা করার' পদ্ধতি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যার ফলে, ফসল উৎপাদনের সময়  কমাতে এই পদ্ধতি সত্যিই অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে। নানা অসংগতি সত্ত্বেও বাংলাদেশে কৃষির যে উন্নয়ন হয়েছে, আমি বলব সেখানে সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। এ ক্ষেত্রে কৃষিতে সরকারের ভর্তুকি একটি সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সম্প্রতি সরকারের ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটি’র এক সভায় আগামী বছরের বাজেটে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সেবার ওপর থেকে ভর্তুকি কমিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনার কথা জানা গেছে। এরই মধ্যে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বেড়েছে, যার প্রভাব সেচের ওপর পড়ছে। এখন যদি সারের দাম বাড়ে এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সেচের খরচ বাড়ে, তা কৃষকদের আরো বেশি চাপের মধ্যে ফেলবে। আর গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে যে সামগ্রিক প্রভাব পড়বে, তাতেও কৃষির উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেবে। ফলে এ রকম একটি চিন্তা-ভাবনা করা যুক্তিসংগত নয়।


সার্বিক যে পরিস্থিতি, তাতে আমাদের কৃষিতে সহায়তা দিয়ে যেতে হবে। কারণ কৃষি ভালো থাকা মানে গ্রামীণ অর্থনীতি ভালো থাকা। আর গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নতি করার অর্থ হচ্ছে গ্রাম-শহরের পার্থক্য কমিয়ে আনা, যা অভ্যন্তরীণ স্থানান্তর (মাইগ্রেশন) তথা শহরমুখী প্রবণতা কমিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে। যাতায়াত ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির ফলে আমাদের গ্রাম ও শহরের পার্থক্য কমেছে বটে, কিন্তু সেটা শুধু ভৌগোলিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে মোটেও নয়। এখন সার ও কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি পেলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ধাক্কা লাগবে। এ বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত বসতি ও শিল্পায়নের কারণে যেভাবে কৃষিজমি কমে আসছে সেটাকেও রোধ করতে হবে।


সর্বপরি, গবেষণার ভিত্তিতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি মেনে নিতে সরকার ও দেশের সকল সচেতন জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।

বিগত ৬ বছরে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের নেই কোনো অর্জন

বিগত ৬ বছরে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের নেই কোনো অর্জন

সাইদ হোসেন নাইম,নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা 


শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন মোটোকে সামনে রেখে সাইক্লোন গতিতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চললেও পিছিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির শারীরিক শিক্ষা দপ্তর। বিগত ৬ বছরে থলিতে পুরুষ্কার হিসেবে নেই কোনো অর্জন। ২০১৭ সালের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবলে ৩য় স্থান অর্জনের পর এখন অবধি দপ্তরটি পায়নি কোনো পুরুষ্কারের ছোঁয়া। ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার প্রতিটি সেগমেন্টে ছিল ভরাডুবি। ক্রিকেট, ফুটবল কিংবা ভলিবল কোথাও মেলেনি সাফল্যের দর্শন। 


৬ বছরের ব্যর্থতা অনুসন্ধানে মেলে কাদা ছোড়াছুড়ি। ব্যর্থতা মেনে নিতে নারাজ দপ্তরটি। শিক্ষার্থীরা দপ্তরটির অদক্ষতা, খোলোয়ার নির্বাচনে নেপোটিজম, পরিকল্পনার অভাব, গতিহীনতা, বিকেএসপি কোটা না থাকা, ডিসিপ্লিন অনুযায়ী কোচ না থাকা, প্রতিদিন খেলোয়ারদের চর্চা না করানোর মতো অসংখ্য অভিযোগ আনলেও দপ্তরটির অতিরিক্ত পরিচালক জিয়া উদ্দিন মন্ডল দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দপ্তর, প্রকৌশল দপ্তর এবং শিক্ষার্থীদের অনিচ্ছাকে। মাঠ সংস্কারের দীর্ঘসুত্রিতা, খেলোয়ারদের জন্য জিমনেসিয়ামের অভাব, শিক্ষার্থীদের খেলোধুলায় অনীহা ও বাছাইকৃত খেলোয়ারদের চর্চার অনিচ্ছাকেই দায়ী করছেন তিনি।এদিকে জিয়া উদ্দিন মন্ডল নিয়মিত এবং পূর্ণ সময় অফিস করেন না বলেও রয়েছে অভিযোগ। 


অনুসন্ধানে জানা যায়, শুধুমাত্র আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার সময় সর্বমোট ১৮-২০ দিন চর্চা করানো হয় বাছাইকৃত খেলোয়ারদেরকে। পরে আবার অতল গহব্বরে হারিয়ে যায় চর্চা নামক সাফল্যের চাবিকাঠি। খেলোয়াড়দের নিয়মিত চর্চা নিয়েও দপ্তরটির নেই কোনো  মাসিক ও বার্ষিক পরিকল্পনা। নেই ডিসিপ্লিনভিত্তিক কোনো কোচ। দীর্ঘদিন ধরে  বিভাগগুলোকে নিয়ে দপ্তরটির নেই কোনো আয়োজন। প্রতিবার ৩০-৪০জন খেলোয়ার নতুন যুক্ত হলেও নেই সর্বমোট খেলোয়ারদের কোনো ডাটাবেজ। শুধু মেলে গতবারের আনঃবিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত খেলোয়ারদের তালিকা।


এ ব্যাপারে আইন ও বিচার বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান ফুটবল দলের খেলোয়াড় সানোয়ার রাব্বী প্রমিস বলেন, আপনি ক্রীড়া বলেন কিংবা শিক্ষা, যেকোনো ক্ষেত্রেই আপনার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া আপনি কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারবেন না।বিশেষ করে খেলাধুলায় আপনাকে একটা ভিশন রাখতে হবে।আপনার জাতীয় পর্যায়ে পারফর্ম করতে গেলে ভালো খেলোয়াড় দরকার। আর ভালো খেলোয়াড় মানসম্পন্ন মাঠ, অনুশীলনের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা, ডিসিপ্লিন অনুযায়ী প্রফেশনাল কোচ না থাকলে সম্ভবই না। দীর্ঘমেয়াদী চলমান চর্চা ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে সফলতা একদমই  অসম্ভব।নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের না আছে খেলা উপযোগী একটি মাঠ, না আছে কোচ, না আছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। কিভাবে তাহলে আপনার  ভালো ফলাফল আসবে? নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যথেষ্ট আগ্রহী খেলোয়াড় রয়েছে, কিন্তু যথাযথ ব্যবস্থা, উদ্যোগ ও সুযোগ সুবিধা না থাকায় আমরা ভরাডুবি দেখতে পাচ্ছি। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণ হবে না যদি না জাতীয় পর্যায়ের কোনো কিউরেটর দ্বারা একটা ভালো মাঠ তৈরী হচ্ছে, কোচের তত্বাবধায়নে সারা বছর অনুশীলন হচ্ছে এবং বিকেএসপি কোটা চালু হচ্ছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিকেএসপির সাবেক ছাত্রদের সমন্বয়ে জাতীয় মানের দল গঠন করে যেখান থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে। মাঠ সংকট না কাটলে, পরিকল্পিতভাবে খেলোয়াড়দের অনুশীলন ও আন্তঃবিভাগীয় বিভিন্ন খেলা মাঠে না গড়ালে ব্যর্থতার সময়টা আরও দীর্ঘায়িত হবে। 


দীর্ঘদিন দপ্তরের এমন ব্যর্থতায় শারীরিক শিক্ষা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক জিয়া উদ্দিন মন্ডল বলেন, খেলাধুলা চর্চায় বাছাইকৃত খেলোয়াড়দেরও রয়েছে অনীহা-অনিচ্ছা। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত প্রতিজন খেলোয়ার সম্পূর্ণ ফ্রিতে খেলার সরঞ্জাম, পোশাক, বুটজুতা, খাবার, যাতায়াতখরচসহ দৈনিক ৪০০ টাকা পেলেও চর্চায় আসেন না নিয়মিত। সংস্কার দীর্ঘসূত্রিতায় আটকে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠ। বারংবার পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দপ্তর এবং প্রকৌশল দপ্তরকে বলেও এখনো মেলেনি মাঠের সমাধান। বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই কোনো জিমনেসিয়াম। স্বতন্ত্র কোনো জিমনেসিয়াম না থাকায় খেলোয়াড়গণ পান না শরীরচর্চার সুযোগ।একইসাথে পান না ইনডোর গেইমের সুযোগও। এছাড়া পাওয়া যায় না খেলাধুলায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের। সংকট নিরসনে প্রতিটি বিভাগে খেলাধুলাকে এসাইনমেন্ট হিসেবে দিলে খেলাধুলায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকে পড়বে,আগ্রহী হয়ে উঠবে। বিশ্ববিদ্যালয় ৮ হাজার শিক্ষার্থী চিনবে শারীরিক শিক্ষা দপ্তরকে। প্রাত্যহিক চর্চার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিজে নিজে অনুশীলন করুক না। শিক্ষার্থীরা কেনো আমাদের চিঠির আশায় থাকবে? 


বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠের দীর্ঘসূত্রিতার ব্যাপারে জানতে চাইলে  প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. জোবায়ের হোসেন বলেন, মাঠে ঘাস লাগানো পরীক্ষাধীন রয়েছে। কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকের পরামর্শে আমরা আগাচ্ছি। ঘাস মাটিতে যাতে ভালোভাবে লেগে যায় এজন্য সময় নেওয়া হচ্ছে।সামনে বর্ষা মৌসুম। তখন ঘাস পুরোপুরি লেগে গেলেই খুব দ্রুত মাঠের সংস্কার কার্যক্রম শেষ হবে।


স্বতন্ত্র জিমনেসিয়ামের ব্যাপারে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কার্স দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি কম থাকায় স্বতন্ত্র জিমনেসিয়ামের ব্যাপারে আমাদের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে নির্মাণাধীন টিএসসিতে ৩/৪ কক্ষ জিমনেসিয়াম হিসেবে ব্যবহৃত হবে। এখানে হ্যান্ডবল, বাস্কেটবলের মতো ইনডোর গেইমের সুযোগ থাকবে না, তবে শরীরচর্চার জন্য কিছু সরঞ্জাম থাকবে। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সর্বমোট ১৫০ একর আয়োতনের বিশ্ববিদ্যালয় চেয়েছি। এটি অনুমোদন পেলে স্বতন্ত্র জিমনেসিয়ামের ব্যাপারে আমরা ভাববো।

নোবিপ্রবিতে সিওয়াইবি'র নতুন কমিটি গঠন


ইয়াসিন, নোবিপ্রবি সংবাদদাতা 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ভোক্তা অধিকার সংগঠন ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) এর যুব শাখা ‘কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ’ (সিওয়াইবি) এর নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ জুন) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান আরিফকে সভাপতি এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাখাওয়াত আহমেদ ফাহিমকে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী এক বছরের জন্য ৩৯ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেন সিসিএস এর নির্বাহী পরিচালক ও সিওয়াইবি’এর সভাপতি পলাশ মাহমুদ এবং সাধারণ সম্পাদক ইমরান শুভ্র।

নতুন কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি দিগন্ত ইসলাম, আবুল বাশার, ইমরান হোসাইন, আবু জুবাইর নাইম। যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজবীর হাসান, গোলাম কিবরিয়া, আল মামুনুর রশিদ, এমরান হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম, উপ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত কুমার বনিক। দপ্তর সম্পাদক আহমদ আরাফাত রিজভী, উপ-দপ্তর সম্পাদক রাইসা মালিহা। অর্থ সম্পাদক খালেদ মামুন, উপ-অর্থ সম্পাদক খাদিজাতুল কুবরা। পরিকল্পনা ও গবেষণা সম্পাদক আহাদ হোসেন অনি। ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সম্পাদক সিরাজোম মুনিরা, সায়মা আহমেদ ইরা। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাইদুল ইসলাম অমি, উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পিংকি দাশ। প্রচার সম্পাদক রাকিবুল হাসান, উপ-প্রচার সম্পাদক তুষার ধর। মিডিয়া সম্পাদক ফারহানা মনসুর প্রিয়া, উপ-মিডিয়া সম্পাদক রাজিব মিয়া। প্রকাশনা সম্পাদক আনিকা বুশরা, উপ- প্রকাশনা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌসী। সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাজেদা আক্তার, উপ-সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক মেহরাজ হোসেন। ক্রিয়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ফুয়াদ আল রাফি। প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক সাজিদ খান। কার্যকরী সদস্য মোতাহার হোসেন, মিথিলা নেওয়াজ, মেহেরিমা মিতু, মেহেরুন ভূঁইয়া, তাহমীম শাদমান খান, অনন্যা দাস, ফাইরুজ নাওয়ার, মোহাম্মদ রেদওয়ান।

কনজ্যুমার ইয়ুথ বাংলাদেশ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টামন্ডলীতে ফিশারিজ এন্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন রয়েছেন।

উল্লেখ্য, বেসরকারী ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) ২০১৩ সাল থেকে দেশে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করে যাচ্ছে। সংগঠনটি বাংলাদেশের ৩৩৫টি থানা, ৬১টি জেলা ও ৪৫টি বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে বায়োলজি ও বায়োইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত

 

অর্ধশতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে বায়োলজি ও বায়োইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত

- মোঃ লিখন ইসলাম,  বাকৃবি প্রতিনিধি।


বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অনলাইনে ১ম বারের মত বায়োলজি এবং বায়োইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডের ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই রাউন্ডে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সহ বাংলাদেশের ৫০+ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২০ জন শিক্ষার্থী  অংশগ্রহণ করেন। 


বৃহস্পতিবার (২২জুন) রাত ৮ টায় অনলাইনে আয়োজিত এই অলিম্পিয়াডটির পরীক্ষা সম্পন্ন হয় এবং অনলাইন প্লাটফর্ম গুগল মিট এর মাধ্যমে   উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। দুই শিফটের ফাইনাল রাউন্ডের পরীক্ষায় ৬২০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।

 

বায়োপিসি নামক অলাভজনক  সংগঠন এই অলিম্পিয়াডটি আয়োজন করেন। এলিমিনেশন এবং ফাইনাল দুইটি রাউন্ড মিলে অলিম্পিয়াডটি সম্পন্ন হয়। এলিমিনেশন রাউন্ডে বাংলাদেশের ৫০+ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মধ্য থেকে ৬২০ জন ফাইনাল রাউন্ডের জন্য নির্বাচিত হোন। 


উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাকৃবি শিক্ষার্থী অর্ণব সাহার  সঞ্চালনায় এবং বায়োপিসির প্রতিষ্ঠাতা মো. হৃদয় আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আল ফোরকান, অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা। এছাড়াও সৌদি আরবের কোয়াসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফজলুল  আজম, এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিত কুমার দত্ত উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ম রাউন্ডে প্রায় ৩০০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ সত্যিই প্রশসংশীয়। বর্তমানে  প্রযুক্তিনির্ভর এ বিশ্বের সাথে তালে  মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে উচ্চতর শিক্ষায় গবেষণার কোনো বিকল্প  নেই। গতানুগতিক মুখস্তনির্ভর পড়াশোনা থেকে বেরিয়ে এসে গবেষণা  নির্ভর উচ্চতর শিক্ষা যেমন  রোবোটিক্স, জেনেটিক্স, কম্পিউটেশনাল বায়োলজি ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করতে হবে। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা  সহ অন্যান্য সফট স্কিল পড়াশোনার পাশাপাশি রপ্ত করতে  হবে। 


উল্লেখ্য বায়োপিসি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বায়োইনফোরম্যাটিক্স ও কম্পিউটেশনাল বায়োলজি ভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী গবেষণা সংগঠন। যার প্রতিষ্ঠাতা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হৃদয় আহমেদ । বায়োপিসির উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যে একদল দক্ষ, উদ্যমি গবেষক তৈরি করা। এই অলিম্পিয়াডে

ফাইনাল রাউন্ডের উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে শীর্ষ ৩০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, বই এবং ১০ হাজার টাকা সমমূল্যের ফ্রী রিসার্চ ইন্টার্নশিপ সুবিধা প্রদান করা হবে।

আশানুরূপ ফল না পেয়ে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা

আশানুরূপ ফল না পেয়ে নোবিপ্রবির শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা


-সাজিদ খান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি।


পরীক্ষায় আশানুরূপ ফল না পেয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি)  শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনেরএক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। 


জানা গেছে, ওই শিক্ষার্থী প্রথম তিন সেমিস্টারে বিভাগে প্রথম হয়ে আসছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সেমিস্টারগুলোতে আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। সর্বশেষ বুধবার (২১ জুন ২০২৩)  ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় অতিরিক্ত মেডিসিন খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিভাগীয় শিক্ষকের মার্ক টেম্পারিং হতে পারে বলে ধারণা করেন ওই শিক্ষার্থী। বর্তমানে উক্ত শিক্ষার্থী নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান জি এম রাকিবুল ইসলাম  বলেন, “তার খোঁজ নিতে আমরা বিভাগের শিক্ষক প্রতিনিধি পাঠিয়েছি। আমি বলবো সে মার্কশীট তুলে দেখুক কোন কোন বিষয়ে খারাপ হয়েছে। খাতা পুনরায় নিরীক্ষার সুযোগ যেহেতু আছে, আবেদন করলে আমরা বিষয়টি দেখবো৷”


এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঐ ছাত্রী জানান, ভয়ে রেজাল্ট নিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারি না। সবাই জানে ডিপার্টমেন্টে কি হচ্ছে কিন্তু সবাই চুপ তাই নিজেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।

বাকৃবিতে গাভীর ম্যাসটাইটিস রোগ নির্ণয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক কর্মশালা

বাকৃবিতে গাভীর ম্যাসটাইটিস রোগ নির্ণয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার শীর্ষক কর্মশালা


- লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি।


দুধেল গাভীর সাধারণত দুই ধরনের ওলান ফোলা বা ম্যাসটাইটিস রোগ হয় যাকে ক্লিনিক্যাল ও সাব ক্লিনিক্যাল পর্যায় বলে। লক্ষণ দেখে ক্লিনিক্যাল ম্যাসটাইটিস সহজে নির্ণয় করা গেলেও লক্ষণ প্রকাশ না করায় সাব ক্লিনিক্যাল ম্যাসটাইটিস সহজে নির্ণয় করা যায় না। সাব ক্লিনিক্যাল পর্যায়ে এই রোগটি নির্ণয়ের জন্য দেশে ডিজিটাল যন্ত্রের ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। যন্ত্রটির মাধমে দুধের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা ও দ্রবীভূত মোট কঠিন পদার্থের পরিমাণ নির্ণয়ের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। যন্ত্রটি ব্যবহার করে মাঠ পর্যায়ে কম সময়ে, খুব সহজে ও সুলভ মূল্যে রোগ নির্ণয় সম্ভব। 


ওলান ফোলা রোগ হলে গাভীর দুধের উৎপাদন কমে যায়। এতে খামারিদের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। রোগ নির্ণয় করে সময়মত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারলে খামারিরা বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতি থেকে মুক্তি পাবেন।


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) অনুষ্ঠিত ‘নিরাপদ দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ডেইরি মিল্কে ওলান ফোলা এবং ঔষধ প্রতিরোধী জীবাণু সনাক্তকরণ এবং ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী কর্মশালায় এসব কথা বলেন প্রকল্পের প্রধান গবেষক ও প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের মেডিসিন সম্মেলন কক্ষে ওই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। 


কর্মশালায় গবেষণা প্রকল্পের সহযোগী গবেষক ও প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মুনমুন পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল। এছাড়া গবেষণার সাথে সংশ্লিষ্ট পিএইচডি ফেলো তাসনিয়া তাবাসসুম আনিকাসহ ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।


কর্মশালায় প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, রোগটির প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে দুধ দুহানোর আগে ও পরে জীবাণুনাশকের সাহায্যে গাভীর ওলান পরিষ্কার করতে হবে। পরে শুকনো কাপড় দিয়ে ভেজা ওলান মুছে দিতে হবে। গাভীর জন্যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খামার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ম্যাসটাইটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এবিষয়ে ডেইরি খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া জরুরি।


তিনি আরও বলেন, নিরাপদ দুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় এই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণায় গত দুই বছরে ৩৯টি খামারের মোট ১০০টি গাভীর ওপর ম্যসটাইটিসের জীবাণু শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে ২৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ গাভীর ওলানের এক চতুর্থাংশ সাব ক্লিনিক্যাল ম্যাসটাইটিসে আক্রান্ত।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় হাবিপ্রবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নিন্দা

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় হাবিপ্রবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের নিন্দা

-হাবিপ্রবি প্রতিনিধি।


চট্টগ্রামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ৫০ টি চিত্রকর্ম ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ।


বুধবার (২১ জুন) গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত

সভাপতি প্রফেসর ড. শ্রীপ
তি শিকদার ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. রোজিনা ইয়াসমিন লাকী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।


একইসাথে এই অবমাননাকর ধৃষ্টতার সাথে জড়িতদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবিও জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী এ শিক্ষক সংগঠনটি ।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতার এই সময়ে দেশের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করা, গণতন্ত্র কে হত্যা করে জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা যাদের উদ্দেশ্য তাদেরই একটি কুচক্রি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। মূলত যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারাই স্বাধীনতার চেতনার উৎস বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুরের মতো জঘন্য কাজ করেছে। 


উল্লেখ্য যে, তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপির অঙ্গসংগঠনের একটি মিছিল থেকে বুধবার (১৪ জুন) চট্টগ্রামের জামালখানে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দেওয়ালে টাঙানো 'মুজিব মানে বাংলাদেশ' শীর্ষক ম্যুরালটি ভাঙচুর করা হয়।

মন্ত্রণালয়ে বারংবার চিঠি প্রেরণ ও বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট

 

মন্ত্রণালয়ে বারংবার চিঠি প্রেরণ ও বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট


-মোঃ লিখন ইসলাম,  বাকৃবি প্রতিনিধি


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালায় ডিভিএম (ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন) ডিগ্রি অন্তর্ভুক্তি এবং পরবর্তীতে ডিভিএম  ও বিএসসি. ভেট সাইন্স এন্ড এ.এইচ এই দুইটি ডিগ্রি বাতিল চেয়ে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে ১৩ জুন থেকে ২০ জুন পর্যন্ত চারবার চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। একই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যের নির্দেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একাধিক চিঠি পাঠানোয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদীয় ছাত্র সমিতি।


বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন অফিসের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতির সদস্যরা।


সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে জানানো হয়, দুই অনুষদের আন্দোলনের মাঝেই গত ১৩ জুন নিয়োগ বিধিমালায় ডিভিএম ডিগ্রিধারীদের প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভূক্তি করতে চলতি দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি প্রদান করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. অলিউল্লাহ্। ১৩ জুনে পাঠানো চিঠিতে তথ্য ভুল ছিল উল্লেখ করে চিঠিটি বাতিলের জন্য ১৮জুন আরেকটি চিঠি পাঠানো হয়।


পরে ১৮ তারিখের চিঠি বাতিল করতে ১৯ তারিখ আরেক চিঠি পাঠানো হয়। সর্বশেষ ২০ জুন চতুর্থবারের মতো সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে ১৩ তারিখ হতে প্রেরিত সকল চিঠিকে আমলে না নেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। বারবার চিঠি পাঠানোর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা। 


ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল ডিনের পাশাপাশি উপাচার্যের চলতি দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু আরেক  অধ্যাপককে ভেটেরিনারি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিনের দায়িত্ব দিয়ে নিজে শুধু উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন বলেও অভিযোগ পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের।


সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে নন-ক্যাডার ও ক্যাডার বহির্ভূত প্রাণি উৎপাদন সংক্রান্ত পদসমূহে নিয়োগসহ মোট ছয় দফা দাবিও জানানো হয়। দাবিগুলো হলো - প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে প্রাণিজ উৎপাদন ও পশুচিকিৎসা দুইটি শাখায় বিভক্তিকরণ, অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি কাউন্সিল গঠন, নন-ক্যাডার পদসমূহে কম্বাইন্ড ডিগ্রির অন্তর্ভুক্তি বাতিল করা, উপজেলা পর্যায়ে শুধুমাত্র পশুপালন ডিগ্রিধারীদের জন্য লাইভস্টক এক্সটেনশন অফিসার পদ সৃষ্টি করা, প্রাণিসম্পদ সেক্টরের জন্য উন্নয়নমূলক বোর্ড গঠন এবং জেলা পর্যায়ে অ্যানিমেল নিউট্রিশন কর্মকর্তা পদ সৃষ্টি ও পোলট্রি ডেভেলপমেন্ট অফিসারের পদসংখ্যা বৃদ্ধি করা।


পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে পশুবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের  অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস, অধ্যাপক ড. বাপন দে, ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আশিকুল ইসলাম, পশুপালন অনুষদ ছাত্র সমিতির সহ-সভাপতি মো. রেজওয়ান উল আমিন, সাধারণ সম্পাদক প্রান্ত সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশিদের ছবি পুড়িয়েছে যা হীনমন্যতার পরিচয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।


ড. ছাজেদা আখতার বলেন, ১৩ তারিখের চিঠির বিষয়ে পশুপালন অনুষদের ডিনকে আগে থেকে কিছু জানানো হয়নি। উপাচার্যের সম্মতি ছাড়া কখনই কোনো চিঠি প্রেরণ সম্ভব নয়।


এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলতি দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, দুই অনুষদের আন্দোলনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যই মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এতে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে রূপ ধারণ করে। বিষয়গুলো অস্বাভাবিকের দিকে মোড় নিলে প্রেরিত চিঠিগুলো বাতিল করার জন্য পুনরায় চিঠি প্রেরণ করা হয়। আর আন্দোলনে সচিবের ছবি পোড়ানোর কাজটিকে আমি কোনোভাবেই সমর্থন করিনা। 


ভেটেরিনারি অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, কিছুদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অবস্থান করার কারণে অনুষদের চলতি কাজ সম্পাদনের জন্য দায়িত্ব দিয়েছিলাম।


উল্লেখ্য, গত ৩০ মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত নন ক্যাডার ও ক্যাডার বহির্ভুত নিয়োগ বিধিমালালা প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এতে প্রাণি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, পোল্ট্রি উন্নয়ন কর্মকর্তা, প্রাণি উৎপাদন কর্মকর্তা, জ্যু কর্মকর্তা, সহকারি ব্যবস্থাপক কর্মকর্তা পদে পশুপালন গ্রাজুয়েটদের পাশাপাশি ভেটেরিনারি সাইন্স ও এনিমেল হাজবেন্ড্রি তথা কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ বিধিমালায় ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) ডিগ্রিধারীদের সুযোগ দিতে আন্দোলন শুরু করেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা। অন্য দিকে কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করতে আন্দোলন শুরু করেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

বাকৃবিতে ত্রিভুজের আয়োজিত 'ত্রয়ী ১৪'

বাকৃবিতে ত্রিভুজের আয়োজিত 'ত্রয়ী ১৪'

-মো. লিখন ইসলাম, বাকৃবি সংবাদদাতা


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন ত্রিভুজ ‘ত্রয়ী- ১৪’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছে।


মঙ্গলবার (২০জুন) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো হারুন-অর-রশিদ । অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশের স্বাধীনতা নিয়ে তুলে ধরা হয় একটি ভিন্নধর্মী পরিবেশনা। এসময় ত্রিভুজের সদস্যরা দর্শকদের মাঝে উপস্থাপন করে দেশাত্মবোধক গান। একে একে দলীয় নৃত্য, গান, খন্ডনাটক দিয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখা হয় অনুষ্ঠানের পুরো সময় জুড়ে। 


অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম , বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ এবং ত্রিভুজের প্রাক্তন সদস্যরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। 

বাকৃবিতে ত্রিভুজের আয়োজিত 'ত্রয়ী ১৪'
‘সুপ্তকে বিকশিত করাই আমাদের লক্ষ্য’ স্লোগান নিয়ে ২০০৩ সালের ১৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা লাভ করে ত্রিভুজ। প্রতি বছর ‘ত্রয়ী’ নামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। অনুষ্ঠানটি জাঁকজমক করতে প্রায় এক মাসব্যাপী অনুশীলন চলে ত্রিভূজ কর্মীদের।


কমিশন্ড অফিসার নিয়োগ দিতে নোবিপ্রবিতে নৌবাহিনীর ক্যাম্পেইন

কমিশন্ড অফিসার নিয়োগ দিতে নোবিপ্রবিতে নৌবাহিনীর ক্যাম্পেইন

সাজিদ খান, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি


কমিশন্ড অফিসার পদে ডিইও ব্যাচে নিয়োগ দিতে ‘জয়েন বাংলাদেশ ন্যাভি’ শিরোনামে নোয়াখালী  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি ) তে ক্যাম্পেইন করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। নোবিপ্রবি বিএনসিসি   সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়।


মঙ্গলবার  ( ২০ শে জুন ) দুপুর ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা  হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস   অডিটরিয়ামে এ ক্যাম্পেইন করে বাংলাদেশ  নৌবাহিনীর সদস্যরা।


নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার নাসিম ইকবাল এর সঞ্চালনায় এসময় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মো. ইকবাল জয়েন বাংলাদেশ ন্যাভি’ শিরোনাম সেশন পরিচালনা করেন। এসময়ে নোবিপ্রবির  ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর,  ছাত্র পরামর্শক  উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক  উপস্থিত ছিলেন।


এসময়ে  ক্যাপ্টেন মো. ইকবাল বলেন, নৌবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে দেশ ও বিদেশে বাংলাদেশের সামরিক এবং অর্থনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ। নৌবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষা করে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরসহ সমুদ্রের সঙ্গে বর্ডার আছে এমন জায়গায় কাজ করে যাচ্ছে নৌবাহিনীর সদস্যরা।


নৌবাহিনীর প্রতি আগ্রহী করতে তিনি বলেন, নৌবাহিনীতে চাকরি করা মানে নিজের দেশকে জন্য কিছু করা। এখানে ভালো মানের স্যালারিসহ পরিবারের জন্য বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ আরও নানা ধরণের সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি অফিসিয়াল কাজে দেশের বাইরে যাওয়ারও সুযোগ রয়েছে।

চবি সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় হাবিপ্রবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ

চবি সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় হাবিপ্রবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ

- তরু, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দোস্ত মোহাম্মদের উপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (হাবিপ্রবিসাস)। 


মঙ্গলবার (২০ জুন) হাবিপ্রবিসাসের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. গোলাম ফাহিমুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে হাবিপ্রবিসাসের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মুবাশ্বির ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানা এ দাবি জানান।



বিবৃতিতে হাবিপ্রবিসাস নেতৃবৃন্দ বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকের ওপর এ ধরেণের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যাচেষ্টা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকিস্বরুপ। আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যান্য সকল অভিযুক্তদের শনাক্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে যারা কুলষিত করেছে তাদেরকে আমরা সংগঠন থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি জানাই।

চবি সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় হাবিপ্রবিসাসের নিন্দা ও প্রতিবাদ
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৯ জুন) রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে একটি চায়ের দোকানে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে চবি শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ ও উপ-দপ্তর সম্পাদক আরাফাত রায়হানসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী চবিসাসের সদস্য ও অনলাইন পোর্টাল ঢাকা স্টেটের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী দোস্ত মোহাম্মদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এসময় সিনিয়র পরিচয় দিলে গরম চা ও চায়ের কাপ ছুঁড়ে আঘাত এবং সাংবাদিক পরিচয় দিলে বেল্ট দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে, পেটে লাথিসহ এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মেরে দোস্ত মোহাম্মদকে হত্যার চেষ্টা করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রলীগ কর্মীরা। পেটে লাথি মারায় কিডনি রোগী দোস্ত মোহাম্মদ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

শরীফ-ওবায়দুল্লাহ এর নেতৃত্বে কুবি দেবিদ্বার ছাত্রকল্যাণ পরিষদ

শরীফ-ওবায়দুল্লাহ এর নেতৃত্বে কুবি দেবিদ্বার ছাত্রকল্যাণ পরিষদ

-অন্তর, কুবি প্রতিনিধি


দেবিদ্বার ছাত্রকল্যাণ পরিষদ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে সভাপতি পদে মনোনীত হয়েছেন লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শরীফুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ ওবায়দুল্লাহ খান


সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যবস্থাপানা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জি এম আলি কাউসার ও  বিদায়ী সভাপতি মোহন চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন এই কমিটির ঘোষণা করা হয়।


এছাড়া কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি, সানোয়ার ইসলাম, কাজী সোমাইয়া জান্নাত, আবু জাফর ভূঁইয়া,শাকিল রেজা, সুরত নাহা, ইব্রাহিম খলিল,কেয়া ধর 


যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফারজানা রিমি, মোস্তফা কামাল ইমরোজ, সাইদুর রহমান, আবদুল্লাহ আল নোমান মিয়াজী, আল মামুন,কাজী আরিফুল ইসলাম। সাংগঠনিক সম্পাদক,নাসিফ মোহামেন, আফজাল হোসেন,ফরহাদুল ইসলাম।

 

উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, এসএম সাব্বির, নুসরাত।  দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ ইছা ও উপ-দপ্তর  মাহিদুল হাসান রাজিব, ইমরুল হাসান রায়হান,

মাহফুজা আক্তার,শরীফুল ইসলাম,রাকিব হোসেন।


অর্থ সম্পাদক  জিল্লুর রহমান, উপ অর্থ সম্পাদক মো. জাহিদ হাসান, মো. মারুফুল ইসলাম। 


ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক শারমিন আক্তার আখি। আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নাব আক্তার স্নিগ্ধা ও জাকিয়া সুলতানা।  আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মার্জিয়া সুলতানা মুন।


উল্লেখ্য, নবগঠিত কমিটি আগামী ১ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

হাসিমুখের বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত

হাসিমুখের বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত



বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সেচ্ছাসেবী সংগঠন হাসিমুখের বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে হাসিমুখের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৩-২৪ ঘোষণা করা হয়।

নবগঠিত কমিটির সভাপতি ভেটেরিনারি অনুষদের অধ্যাপক ড. এ. এস. মাহফুজুল বারি এবং সাধারণ সম্পাদক কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন। রবিবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদীয়  সম্মেলন কক্ষে ওই সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়।


নবগঠিত কমিটির সহ সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ, অধ্যাপক ড. মো. রইস উদ্দীন মিঞা, অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা, অধ্যাপক ড. মো. পারভেজ আনোয়ার, অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া সুলতানা , অধ্যাপক ড. রোখসানা পারভীন। 

হাসিমুখের বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠিত

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-১ মো. সামী-উস সাদাত সিহাব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-২ মো. সারওয়ার জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ইনাম তিসা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক-১ শাহরিন তাবাসসুম শিল্পী চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক- ২ সৈয়দ মোবারক হোসেন নিলয়, কোষাধ্যক্ষ রুবাইয়া বিনতে রেজানুর পূর্ণা, দপ্তর সম্পাদক মিফতাউল জান্নাত মিথিলা, উপ-দপ্তর সম্পাদক নাজমুস সাদাত, তথ্য ও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানজিদা আক্তার মিনা, প্রচার সম্পাদক নুজহাত তাবাচ্ছুম আলম, যোগাযোগ ও সমন্বয়ক নাফি উজ জামান, ফটো এন্ড মিডিয়া এক্সিকিউটিভ সাদমান জাওয়াদ সাকিব। কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ৭ জন।


ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসিমুখের শিক্ষক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি, অধ্যাপক ড. মো. পারভেজ আনোয়ার, অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া সুলতানা প্রমুখ। আরোও উপস্থিত হাসিমুখের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য।

জবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ফল উৎসব

 

জবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের ফল উৎসব

জবি প্রতিনিধি, 


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের উদ্যোগে গ্রীষ্মকালীন ফল উৎসবের আয়োজন করে শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের
ছাত্রছাএীরা। 


রবিবার (১৮ জুন) শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের জুলফা মোহাম্মদ ভবনে গ্রীষ্মকালীন আম,কাঁঠাল, লিচু,জাম,ড্রাগন ইত্যাদি বাহারি জাতের  ফলের আয়োজন করা হয় । সকলের মাঝে এই বিভিন্ন ফলের উৎফুল্লতা ছড়ানোর জন্য  উক্ত উৎসবের আয়োজন করা হয় বলে জানান ইনিস্টিউটের ছাত্রছাত্রীরা


আনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউটের চ্যায়ারম্যান  ড.প্রফেসর মনিরা জাহান ম্যাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ। 



উক্ত উৎসব সম্পর্কে (২০২১-২০২২) বর্ষের শিক্ষার্থী  মাহবুব ইসলাম   বলেন, গ্রীষ্মকাল আমাদের জন্য নিয়ে আসে বিভিন্ন রকমের ফল। বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ফল থাকে যা আমাদের সকলের হাতের নাগালে থাকে না । এমন উৎসব আয়োজন করার মাধ্যমে সব অঞ্চলের ফল সম্পর্কে সকলে জানে পারবে এবং খেতে পারবে যা সকলের মাঝে খুবই  আনন্দের বিষয়।

বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ

বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ


বাবা এমন একটি নাম যা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। বাবা মানে নির্ভরতার আকাশ আর অশেষ নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা স্থান। সন্তানের কাছে প্রত্যেক বাবাই প্রিয়। কারও কাছে বটবৃক্ষের মতো, কারো কাছে সুপারম্যান, কারো কাছে আবার জীবনযোদ্ধা, কারও কাছে বাবা আলাদিনের চেরাগ। বাবা থাকলে সন্তানের হাতের মুঠোয় থাকে দুনিয়ার সমস্ত সুখ। আবার যার বাবা নেই তার কাছে সমস্ত দুনিয়া অন্ধকার,চির অন্ধকার, তার কাছে রঙিন এই দুনিয়াও যেন বিভীষিকাময় কালো আঁধারে ছেয়ে যায়। 


যে বাবার শাসনের মুখোমুখি হয়ে সন্তানের চোখে ভয়ের প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। আবার সেই বাবার আদরে মুহূর্তেই আনন্দে অশ্রুর ঢেউ খেলে সন্তানের চোখে। সন্তানের জীবনকে বাস্তবতার মুখোমুখি এনে সকল প্রতিকূলতা ডিঙিয়েও খাটি যোদ্ধা হওয়ার শিক্ষাও দেন বাবারাই। 


বাবা এক মায়ার নাম, বাবা এক ছায়ার নাম,বাবা এক পরম অনুভূতির নাম। বাবা চোখের সামনে ভেসে ওঠা এক জীবনযোদ্ধার নাম,যে যোদ্ধার কারণে পৃথিবীর সকল সন্তান পরম আনন্দ,সুখ,সাচ্ছন্দ্য,আরাম-আয়াসে জীবন উপভোগ করতে পারে।  পৃথিবীর আলো দেখার পর থেকে যে মানুষটা আমাদের একটু সুখের জন্য, আমাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো মেটানোর জন্য নিজের সব সুখ ও ইচ্ছা বিসর্জন দেন তিনিই হলেন বাবা।


যিনি আমাদের চাহিদা, আমাদের আবদারগুলো পূরণ করার জন্য দিনকে রাত এবং রাতকে দিন বানিয়ে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে যান তিনি আমাদের বাবা। বাবা জীবনের বটবৃক্ষ, নিদাঘ সূর্যের তলে সন্তানের অমল-শীতল ছায়া। বাবার তুলনা তিনি নিজেই। তাই তো বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। সন্তান যতই ভুল কাজ করে থাকুক না কেন সঠিক সময়ে বাবারাই সব ভুলের সমাধান হয়ে দাঁড়ায়। বাবা মানে অনেক চাওয়া, বাবা মানে অনেক পাওয়া, বাবা মানে অনেক পূর্ণতা। বাবার কাছে সন্তান কখনোই বড় হয় না, তাই সারাজীবন আদর, যত্ন,স্নেহ, মায়া-মমতায় বাবারা সন্তানদের আগলে রাখে। বাবা এমন একজন মানুষ যে তার সন্তানকে যেমন আঁকড়ে ধরে রাখে তেমনি সন্তানকে বাইরের জগতের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শক্ত হাতে প্রস্তুত করেও তোলে৷ বাবারা সন্তানকে শেখায় কিভাবে পথ চলতে হয়,কিভাবে নিজেকে সবার থেকে অনন্যা করে গড়ে তুলতে হয়। হাজারো কষ্ট হাসিমুখে সহ্য করে তিল তিল করে সন্তানকে বড় করে তুলেন বাবারাই। একজন মেয়ের জীবনে তার বাবাই থাকে তার প্রথম পুরুষ। তাই মেয়েদের জীবনে প্রথম ছেলে বন্ধু হয় তার বাবা। বাবা-মেয়ের বন্ধন যেন এক অসীম মমতার চাঁদরে ঘেরা বন্ধন। তেমনি বাবা ছেলের বন্ধনও এক বটবৃক্ষের ছায়ায় ঘেরা বন্ধন। বাবা হচ্ছেন সন্তানের পরম বন্ধু। বাবা হলো স্রষ্টার ভালোবাসার কবিতা প্রতিচ্ছবি।একজন সফল বাবা তার চেয়েও সফল একজন সন্তানকে তৈরি করেন।


বাবা হলেন সেই মানুষটা, যে জীবনের সব পরিস্থিতিতে তোমার পাশে থেকেছে এবং থাকবে।একজন বাবা হলেন একজন বন্ধু, যার উপর আমরা সর্বদা নির্ভর করতে পারি।


বাবা হলো নিম গাছের মতো। যার পাতা তেতো হলেও ছায়া সবসময় শীতল করে দেয়।বাবা মানে, হাজারটা সমস্যার সমাধান এক নিমেষেই। বাবা নামটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোন বয়সী সন্তানের হ্রদয়ে শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, আর ভালোবাসার এক অনুভব জাগে।একজন বাবা হলেন- অনুপ্রেরণা ও আত্ম-সংযমের উৎস। বাবা হল সেই নোঙ্গর, যার উপর তার সন্তানরা দাঁড়িয়ে থাকে।বাবা এমন একজন অসাধারণ ব্যক্তি, যিনি সারাজীবন আমাদের জন্যে কষ্ট করেন। নিজের সব অনুভুতি লুকিয়ে রাখেন। নিজের সব ইচ্ছার জলাঞ্জলি দিয়ে জীবন যুদ্ধে একা লড়ে যান।পৃথিবীতে একমাত্র বাবার ভালবাসায় কোন স্বার্থ থাকেনা। সে নিঃস্বার্থভাবে পরিবারের জন্য সারা জীবন কষ্ট করে যায়।


বাবার ছায়া শেষ বিকেলের বট গাছের ছায়ার চাইতেও বড়। একমাত্র বাবা তার সন্তানকে জীবনের সব উত্তাপ থেকে সামলে রাখে।একজন বাবা তার সন্তানের জন্য কত ভাবে অবদান রেখে যায়, তার হিসাব কেউ কখনো দিতে পারবে না।


আতিয়া শারমিলা আঁখি 
দপ্তর সম্পাদক, 
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম,জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।

হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত অন্তত অর্ধশতাধিক

 

হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত অন্তত অর্ধশতাধিক

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ব কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই গ্রুপের প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৬ জনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে কয়েকজন ভর্তি রয়েছেন।


শনিবার রাত ৯ টা থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও শিক্ষকবৃন্দ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।


জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই কোন্দল চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের সাথে রিয়াদ ও সজলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে  সংঘর্ষ বেধে যায়। কয়েক দফার এই সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জনের মত আহত হয়। 


দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ক্যাম্পাসের আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা যাতে করে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়টি দেখছে পুলিশ। এছাড়াও ক্যাম্পাসের ভিতরেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  


এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ডঃ মামুনুর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

বাকৃবিতে গ্রীন ভয়েসের বর্ষাবরণ

 

বাকৃবিতে গ্রীন ভয়েসের বর্ষাবরণ

মোঃ লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি


খিচুড়ি ভোজ এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গ সংগঠন অভিযাত্রিকের যাত্রা সূচণার মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বর্ষা বরণ- ১৪৩০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েসের আয়োজনে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মুক্তমঞ্চে ওই বর্ষা বরণ অনুষ্ঠিত হয়।

বাকৃবিতে গ্রীন ভয়েসের বর্ষাবরণ

বাকৃবিতে গ্রীন ভয়েসের বর্ষাবরণ


বর্ষা বরণ উপলক্ষে দুপুরে খিচুড়ি ও ভর্তা ভোজ এবং পরবর্তীতে বিকেল সাড়ে চারটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গ্রীন ভয়েস। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ফরিদ উজ জামান রিফাতের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরবর্তীতে গ্রীন ভয়েসের সাংস্কৃতিক অঙ্গসংগঠন অভিযাত্রিকের পথচলার সূচনা ঘোষণা করা হয়। এসময় অভিযাত্রিক দলকে গ্রীন ভয়েসের পক্ষ থেলে একটি হারমোনিয়াম উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্টানে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তিসহ নানা পরিবেশনা করে অভিযাত্রিক দলের সদস্যরা।


এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন, গ্রীন ভয়েসের শিক্ষক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ ও অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, গ্রীন ভয়েসের ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়ক শাকিল কবিরসহ গ্রীন ভয়েস বাকৃবি শাখার সদস্যরা।


এসময় অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, পরিবেশ সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার লক্ষে গ্রীন ভয়েস কাজ করে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে তারা সূচণা করেছে সাংস্কৃতিক অঙ্গসংগঠন অভিযাত্রিকের। অভিযাত্রিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবে। সেই সাথে মাদকমুক্ত ও নৈতিকতাসম্পন্ন মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাকৃবি শিক্ষার্থী নিহত

 

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাকৃবি শিক্ষার্থী নিহত

-মোঃ লিখন ইসলাম,  বাকৃবি প্রতিনিধি।


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের লেভেল-২ সেমিস্টার-১ এর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ফরিদ উজ জামান রিফাত এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তিনি ঈশা খাঁ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তার মৃত্যতে শোকাহত পুরো বাকৃবি পরিবার। 

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাকৃবি শিক্ষার্থী নিহত


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে পিতাকে ডাক্তার দেখিয়ে ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনায় নিজ বাসায় ফেরার পথে নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলায় তাদের বহনকারী সিএনজি এবং ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় রিফাত এবং তার বাবা সহ সিএনজিতে অবস্থানরত আরো দুইজন আহত হন। পরবর্তীতে তাদেরকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত রিফাত নেত্রকোনা পূর্বধলা জগৎমনি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ২০১৮ ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন এবং বর্তমানে বাকৃবির শিক্ষার্থী ছিলেন। তার অকাল বিদায়ে স্তব্ধ তার পরিবার ও স্বজনেরা। শোকের ছায়া নেমেছে শিক্ষক এবং সহপাঠীদের মাঝে। 


তার বিদায়ের খবরে তার এক সহপাঠী শোক প্রকাশ করে বলেন, আজকে দুপুর এ ফরিদ এর লগে দেখার হওয়ার পর ফরিদ বললো, বন্ধু গাছে জাম পাকছে চল আমার হলে যায় একসাথে জাম খাবো। আজকে গেলাম নাহ । আজকে বন্ধু একেবারে চলে গেলো। এখন জাম খাওয়াবে কে? 


সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে ফরিদের লাশ তার বাসায় পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১৬জুন) বাদ জুম্মা তার জানাজা এবং দাফন অনুষ্ঠিত হবে।

নোবিপ্রবি শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন


নোবিপ্রবি প্রতিনিধি 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অধ্যয়নরত শেরপুর জেলার ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন "শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, নোবিপ্রবি" এর পঞ্চম  কার্যনির্বাহী কমিটি(২০২৩-২৪) ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার  (১৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.মো. মামুন অর রশিদ এবং ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান জনাব মোহাম্মদ সেলিম মিয়া সাক্ষরিত প্যাডে কার্যনির্বাহী কমিটি- ২০২৩ ঘোষণা করা হয়।

নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি  বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল ইসলাম লিথু ও সাধারণ সম্পাদক  নির্বাচিত হয়েছেন প্রাণীবিদ্যা  বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির বিদ্যুৎ।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন- সহ-সভাপতি ইমরান কবির, সহ-সভাপতি মুশফিকুর রহমান অলিন, সহ-সভাপতি সুমিতা আক্তার সুমি সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ, সহ-সভাপতি অমিত চন্দ্র বর্মন , যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াদ, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল রাহাত,  যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাওহীদ হাসান তপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন রিফাত,সাংগঠনিক সম্পাদক সাবিহা জামান তিথী, সাংগঠনিক সম্পাদক তওহীদুর রহমান নাহিদ  , সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন জাহান তিথী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম মাহবুব শিহাব, শিক্ষা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মনজিত সরকার ইমন , অর্থ বিষয়ক  সম্পাদক রিফাতী জান্নাত ফারিয়া , উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আফরিন জাহান আঁখি, তথ্যও  প্রচার সম্পাদক জুলকার নাইন তোষার , উপ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব, দপ্তর সম্পাদক সুহানুর রহমান শান্ত, আইন  বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কাশেম,  ত্রাণ ও দুর্যোগ সম্পাদক  এ. এন. এম।. সরফুল আলম, কার্যকরী সদস্য মো. আজিম হোসেন, হালিমাতুস সাদিয়া, রাসেল মিয়া, মো. তানভীর ইসতিয়াক, সাবিকুন নাহার কণা, শাহরিয়ার সৌমিক, মাসুম।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বিদ্যুৎ  বলেন, ছাত্রকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে আগামী দিনে নোবিপ্রবিতে একটি আদর্শ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ  হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সবার সহযোগীতায় সংগঠন এগিয়ে নিতে চাই।

নবনির্বাচিত  সভাপতি আজিজুল ইসলাম লিথু   বলেন, সকলের সার্বিক  সহযোগিতায় আগামী দিনে " শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ, নোবিপ্রবি" এর কার্যক্রম আরও তরান্বিত করতে সকল প্রকার পদক্ষেপ নিবো। শেরপুর থেকে আগত সকল শিক্ষার্থীর যেকোনো সমস্যায় আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো।

বাকৃবিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কৃষি- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ বিষয়ক আলোচনা সভা

 

বাকৃবিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কৃষি- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ বিষয়ক আলোচনা সভা

-মোঃ লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি।


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যায়ে (বাকৃবি) ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কৃষি- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ‘কৃষি আবহাওয়া তথ্য উন্নয়ন প্রকল্প’ এর অর্থায়নে বুধবার (১৪ জুন) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোমেটেরিওলজি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। 


আলোচনা সভায় মূল বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মো. জহিরুদ্দিন। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কৃষির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও ভবিষ্যৎ করনীয় বিষয় সমূহ নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং আলোচনা শেষে একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করা হয়। 

বাকৃবিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কৃষি- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ বিষয়ক আলোচনা সভা


ড. মো. জাহিরুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু। এদেশের জলবায়ুর সাম্প্রতিক পরিবর্তনগুলো ব্যাপক, দ্রুত এবং তীব্র। এটা অনস্বীকার্য যে মানুষের কার্যকলাপ জলবায়ু পরিবর্তন ঘটাচ্ছে এবং চরম আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। যার ফলে খড়া, সাইক্লোন ও ভারী বৃষ্টিপাতসহ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে ঘন ঘন সাইক্লোন, সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি, মাটির লবণাক্ততা বৃদ্ধি, খড়া, অতিবৃষ্টির মত ৭ টি প্রধান প্রভাব লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার’ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। চরম জলবায়ু সহিষ্ণু গবাদি পশুর জাত ও ফসলের বীজ জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাভাবিক উৎপাদনে সহায়তা করতে পারে। মেরিকালচার, সামাজিক বন তৈরি, ম্যানগ্রোভ সংরক্ষন, জীবিকার পরিবর্তন ইত্যাদি আমাদের জলবায়ুর খারাপ প্রভাব মোকাবেলা করতে সাহয্য করবে।


এগ্রোমেটেরিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ বি এম আরিফ হাসান খান রবিনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ফেলো ও  বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত  অধ্যাপক ড.এম জহিরুদ্দিন। সভায় অতিথি হিসেবে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম-১, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল বাতেন, ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইন্সটিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) পরিচালক ড. মো: এনামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কৃষি অধিদপ্তেরের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও এগ্রোমেটেরিওলজি বিভাগের স্নাতোকোত্তর শিক্ষার্রীরা আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মন্দির নির্মাণের দাবিতে হাবিপ্রবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

মন্দির নির্মাণের দাবিতে হাবিপ্রবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

তরু, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি।


হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) গণস্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করছেন হাবিপ্রবি সনাতন ধর্মালম্বী সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মূলত ২০১৩ সালে রিজেন্ট বোর্ডের ৩০ তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত (মন্দির নির্মাণ) বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এই আয়োজন।


সোমবার (১২ জুন) দুপুর ১ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামের সামনে তিনদিন ব্যাপী এই কার্যক্রম শুরু হয়। 


চলতি বছরের ২২ জানুয়ারিতে মন্দির মন্দির নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন হাবিপ্রবির সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা। সেদিন (২২ জানুয়ারি, রোববার)  দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে তারা মানববন্ধন করেন। পরে মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এরপর বিস্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন আশ্বাস দেয়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে হাবিপ্রবিতে কেন্দ্রীয় মন্দির নির্মাণের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ করা হবে। এই আশ্বাসকে কেন্দ্র করে মাঠ ছাড়েন হাবিপ্রবির সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা।


এমতাবস্থায়, চলতি মাসের ২৩ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ৪ তারিখ  পর্যন্ত ঈদের ছুটিতে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই আগামী ৩০ জুনকে কেন্দ্র করে আজ থেকে তিনদিন ব্যাপী গণ স্বাক্ষর কর্মসূচী পালন করছেন তারা।


উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পরেও হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)  নির্মিত হয়নি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়। দীর্ঘদিন যাবৎ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মন্দির নিমার্ণের দাবি জানিয়ে আসলেও বাস্তবায়নে  নেওয়া হয়নি তেমন কোন উদ্যোগ। পূজা অর্চনার জন্য ক্যাম্পাসে নেই স্থায়ী  কোন ব্যবস্থা। 

মন্দির নির্মাণের দাবিতে হাবিপ্রবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি


সনাতনী শিক্ষার্থীদের দাবি, যেখানে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য উপাসনালয় রয়েছে। সেখানে আমাদের না থাকাটা দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয় একটা আদর্শে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। কিন্তু প্রশাসনের এবিষয়ে দীর্ঘসূত্রতা আমাদের অনেক কষ্ট দিচ্ছে।


তারা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা, দীপাবলিসহ বিভিন্ন উৎসব হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় অস্থায়ী ভাবে বিভিন্ন জায়গায় এসব ধর্মীয় পূজাঅর্চনা এবং উৎসব পালনের আয়োজন করতে হয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী দিপু রায় বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে, সনাতনী শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিকতা বিকাশের জন্য কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশের ২য় সংখ্যাগরিষ্ঠ সনাতনী শিক্ষার্থী অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কেন্দ্রীয় মন্দির স্থাপিত হয়নি, এমনকি সনাতনী শিক্ষার্থীদের জোড়ালো দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৩০ তম সভায় মন্দির নির্মাণের জন্য “সিদ্ধান্ত বিবিধ-১” গৃহীত হলেও তা ৮ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। 


তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সকল ধর্মের ধর্মীয় চর্চার গুরুত্ব অপরিসীম তাই আমি মনে করি,হাবিপ্রবিতে কেন্দ্রীয় মন্দির এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে হাবিপ্রবি প্রশাসন সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে হাবিপ্রবিতে অতিদ্রুত একটি কেন্দ্রীয় মন্দির বাস্তবায়ন করবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী অনূকূল প্রসাদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর সরস্বতী পূজা এবং দীপাবলি উৎসব হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ আবেদন করা সত্ত্বেও আমাদের একটা নির্দিষ্ট প্রার্থনার জায়গা না দেওয়ায় সুন্দরভাবে উৎসবগুলো পালন করতে পারি না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হচ্ছে শিক্ষা এবং নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করাঃ হাবিপ্রবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হচ্ছে শিক্ষা এবং নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করাঃ হাবিপ্রবি উপাচার্য

তরু, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি।


দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হচ্ছে শিক্ষা এবং নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা।জ্ঞান সৃষ্টির ক্ষেত্রে গবেষণার কোন বিকল্প নেই। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শিক্ষকতার পাশাপাশি অন্যতম প্রধান কাজ হলো গবেষণা।


মঙ্গলবার ( ১৩ জুন) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি) কর্তৃক আয়োজিত এক কৰ্মশালায় প্ৰধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন। 


তিনি আরো বলেন, ' বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন, এর ম‚ল লক্ষ্য হল উক্ত জেলার সারাউন্ডিংসের উপর গুরুত্ব প্রদান করা। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি সেই এলাকার সারাউন্ডিংস কে ফোকাস করে, তাহলে সারা দেশকে ফোকাস করা হবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজই হচ্ছে শিক্ষা এবং নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা এবং সেই জ্ঞান বিতরণ করতে হবে। যেকোন গবেষণা প্রবন্ধ তৈরি করার ক্ষেত্রে রিসার্চ ম্যাথড খুবই গুরুত্বপ‚র্ণ ভ‚মিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস এর ভ‚মিকা অপরিসীম। আমি আশা করি আজকের এই প্রশিক্ষণ থেকে আপনারা গুরুত্বপ‚র্ণ কিছু বিষয় জানতে পারবেন। পরিশেষে তিনি এ ধরণের কর্মশালা আয়োজনের জন্য আইকিউএসি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।'


আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. বিকাশ চন্দ্ৰ সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইআরটি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ শাহ্ মইনুর রহমান এবং স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ তহিদার রহমান। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আই.ইউ.বি.এ.টি এর আইকিউএসি’র পরিচালক ও পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. খোন্দকার সাইফ উদ্দিন।

© all rights reserved
made with by wikibangla.net