অন্ধত্ব নিয়েও তারা স্বপ্ন পূরণ করতে চায়


সাদমান রাকিন, নোবিপ্রবি 

প্রবাদে আছে ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। এমন বাণীতে বিশ্বাস করলে নিজের লক্ষ্য পূরণে শারিরীক প্রতিবন্ধকতাও কোনো বাঁধা হতে পারে না। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে তেমনই দু'জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী উদ্যমী শিক্ষার্থী।


লক্ষীপুর সরকারী কলেজ থেকে আসা তৌফিক বিন জাহাঙ্গীর একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। জন্মস্থান নোয়াখালী জেলা হলেও লক্ষীপুরেই পড়ালেখা তার। অত্যন্ত মেধাবী এই শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। তৌফিক জানান, তার দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা তার জন্য শারীরিক বাঁধা হলেও মানসিকভাবে সে অনেক বড় হতে চায়। তার স্বপ্ন এখন একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া। তৌফিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও সমাজের জন্য কাজ করে যেতে চায়। তার ইচ্ছা সে বাংলাদেশের শারীরিক প্রতিবন্ধীদের নিয়ে কাজ করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থ সমাজিক অবস্থান নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা তার। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তৌফিক ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক হতে চান।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তৌফিক অন্য শিক্ষার্থীর সাহায্যে পরীক্ষা দিচ্ছেন


নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা রেজওয়ান ইসলাম তাসপিও একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। রেজওয়ানের মা একজন প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক। মায়ের উৎসাহ থেকেই পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ পায় সে। ছোট বেলা থেকেই মায়ের থেকে শুনে শুনেই পড়া মুখস্থ করে পড়ালেখা করতো রেজওয়ান। রেজওয়ান জানান, চোখের সমস্যার কারণে ছোটবেলা থেকেই পড়ালেখায় সমস্যা হতো তার। কিন্তু তার মায়ের উৎসাহে পড়ালেখার প্রতি তার আরো ভালোবাসা জন্মায়। রেজওয়ানের ভবিষ্যতের স্বপ্ন সে আইন বিভাগে পড়ালেখা করে একজন ভালো আইনজীবী হওয়ার।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী রেজওয়ান গুচ্ছের বি ইউনিটে পরীক্ষা দিচ্ছেন 

তবে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বেইল সিস্টেমে পড়ালেখা করলেও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন সুবিধা পাওয়া যায় না। তাদেরমত শারীরিক প্রতিবন্ধীদের দিকে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ নজর দিবে এমন প্রত্যাশাই তার। 
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url