সিসিটিভি বন্ধের সুযোগে রাতের আঁধারে নির্মানাধীন এ্যানিমেল শেড ভাংচুর

সিসিটিভি বন্ধের সুযোগে রাতের আঁধারে নির্মানাধীন এ্যানিমেল শেড ভাংচুর, বাকৃবি নিউজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদন, wikibangla news desk, special news

 

সিসিটিভি বন্ধের সুযোগে রাতের  আঁধারে নির্মানাধীন এ্যানিমেল শেড ভাংচুর

মো: লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি


রাতের আঁধারে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিজিওলজি বিভাগের নির্মানাধীন এনিম্যাল শেড ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভাংচুরের ঘটনার সময়  উপস্থিত ছিলো না কোনো নিরাপত্তাকর্মী। এমনকি পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ না পাওয়ার অভিযোগ করেছে ঐ বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষকবৃন্দ। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি করে ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলম মিয়া ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।

সিসিটিভি বন্ধের সুযোগে রাতের  আঁধারে নির্মানাধীন এ্যানিমেল শেড ভাংচুর


শুক্রবার (২৬ মে) গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ব্যাডমিন্টন কোটের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।


অভিযোগপত্রে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলম মিয়া বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিনের অনুমতিক্রমে এবং বোর্ড অফ স্টাডিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিজিওলজি বিভাগের এ্যানিমেল শেড নির্মাণের গাথুনির কাজ গতকাল শেষ হয়। আজ সকালে শ্রমিকরা প্লাস্টারের কাজ করতে এসে গাঁথুনি ভাংচুর অবস্থায় দেখতে পায় । ফিজিওলজি বিভাগের পক্ষ থেকে ভাংচুরকারীদের সনাক্ত করে বিচারের দাবি এবং প্রতিবাদ জানাই।


ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফিজিওলজি বিভাগের একাধিক শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা ডিনের অনুমতি নিয়েই কাজ শুরু করেছি। দুই দিন আগে এ্যানিমেল শেড নির্মাণের সময় শ্রমিকদের বাধা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি এন্ড হিস্টোলজি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক। তারা শ্রমিকদের কাজ বন্ধের জন্য হুমকি দেয়। পরে গতকাল রাতে দুষ্কৃতিকারীরা শেডটি ভাংচুর করে।


এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার চীফ সিকিউরিটি অফিসার মো. মহিউদ্দীন হাওলাদার বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদের সামনের সিসি ক্যামেরা ঝড়ের কারণে বর্তমানে বন্ধ আছে। এজন্য কে বা কারা শেড ভাংচুর করেছে এখনো পর্যন্ত আমরা খুঁজে পায় নি। 


তিনি আরো বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদে গতকাল বিকাল থেকে দুইজন নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত ছিলো। নিরাপত্তাকর্মী নুরুল আমিন বিকাল থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত এবং মনিরুল ইসলাম রাত ১২ টা থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত কর্মরত ছিলো। ঘটনাটি কখন ঘটেছে তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা কিছুই বলতে পারেনি।  তারা যদি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে অফিসিয়ালি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, তাদেরকে শেড নির্মাণের কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনুষদীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত সকল প্রজেক্টের শেড নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। শুধু ফিজিওলজি বিভাগ না অন্যান্য বিভাগ থেকেও শেড নির্মাণের আবেদন এসেছে। সকলের মতামত জানার জন্যে পরবর্তীতে আলোচনা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যেই আন্তঃবিভাগীয় কোন্দলের কারণে ফিজিওলজি বিভাগ তাদের অ্যানিমেল শেড নির্মাণ শুরু করে। এখন কে বা কারা এই ভাঙচুর করেছে সে ব্যাপারে খোজ-খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল দেখবে। ফিজিওলজি বিভাগের এ্যানিমেল শেড ভাংচুরের ঘটনার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কোন মন্তব্য নেই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

© all rights reserved
made with by wikibangla.net