হাবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন



হাবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন


-তরু,হাবিপ্রবি প্রতিনিধি


২৩ মে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি হল। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন করা হয়েছে। 


দিনটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে স্থাপিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন হাবিপ্রবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান, এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ সাইফুর রহমান, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. মামুনুর রশীদ, জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ। ক্রমান্বয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরাম, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদ, হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ এর নেতৃবৃন্দ, প্রগতিশীল কর্মচারী পরিষদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল ৯.৪৫ টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে পায়রা ও বেলুন উড্ডয়ন করেন ভাইস-চ্যান্সেলর। 


হাবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন



পরবর্তিতে সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জুলিও কুরি পদক প্রাপ্তির ৫০তম বছর উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আজকের দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক একটি দিন আমাদের জন্য। তিনি বলেন, আজ আমি যে বিষয়টির উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চাই, সেটি হচ্ছে বিশ্বশান্তি। ১৯৪৭ সালে পশ্চিম পাকিস্থানের শাসকগোষ্ঠী যখন পূর্ব পাকিস্থানের শান্তিকামী মানুষদের শোষণ বঞ্চনার মাধ্যমে নানাভাবে নিষ্পেষিত করেছিল। সেই সময় একটি কণ্ঠ আমাদের সকলকে উজ্জীবিত করেছিল, সেটি হচ্ছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর কণ্ঠ। ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা, ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা রাখাসহ ২৩ বছরের যে সুদীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম। এর একটি উদ্দেশ্য ছিল, তা হচ্ছে শান্তিকামী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সেই শান্তিকামী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর হাত ধরে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় সেই সময় পৃথিবী দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল, এই বিভাজনের মূল কারণই ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি। সেই অস্ত্রের ঝনঝনানি হতে মুক্ত থেকে আমাদের জাতির পিতা জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তোলেন। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তিনি শান্তির বার্তা পৌঁছে দেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন বিশ্ব আজ শোষণ ও শোষিত এই দুভাগে বিভক্ত, আমি শোষিতের পক্ষে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘদিন লড়াই, সংগ্রাম, জেল, জুলুম, ও নির্যাতন সহ্য করে যে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার মূল লক্ষ্য ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই সোনার বাংলা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন তারই রক্ত ও আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এতোকিছুর মাঝেও স্বাধীনতা বিরোধীরা থেমে নেই। তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এটি কোনভাবেই কাম্য নয়। আপনারা জানেন রাজশাহীতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে চক্রান্তকারীরা। আমরা হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এর তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি এবং এর যথাযথ বিচারের দাবী জানাই।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url