প্রথমে আপনার জেনে নিতে হবে আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সেবা প্রদান করছে কিনা। এখানে দেখে নিতে পারবেন আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সুবিধা রয়েছে কিনা।
পড়ুন- ই-পাসপোর্টের আবেদনের জন্য যা জানা প্রয়োজন
ধাপ ১: আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন
ভিজিট করুর- E-passport application. আপনি নিচের মত একটি পেইজ দেখবেন।

এখান থেকে আপনি ক্লিক করুন Directly to online Application তারপর নিচের পেইজ আসবে। এখানে আপনার জেলা ও পুলিশ থানার নাম সিলেক্ট করুন।

এবার আপনাকে আপনার ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি লিখবেন সেটির পাসওয়াড যেন আপনার জানা থাকে। কারণ পাসওয়াড না জানলে আপনি সেটি ভেরিফাই করতে পারবেন না।
ইমেইলের পাসওয়াড মনে না থাকলে সেটি পরিবতন করে নিতে পারেন।
আপনার ইমেইল টি লিখুন ও নিচের রোবট ভেরিফিকেশন টিক দিয়ে Continue বাটন ক্লিক করুন।

ধাপ ২: ইমেইল ভেরিফিকেশন
এখন পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠাবে। আপনাকে সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ইমেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।
ধাপ ৩: ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ

ইমেইল ভেরিফিকেশনের পর, পুনরায় ওয়েবসাইটে লগইন করুন Login
এখানে আপনার নাম, তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা নম্বর দিন এবং Save and Continue তে ক্লিক করুন।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?
উল্লেখ্য যে, যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।
১৮-২০ বছরের মধ্যে বয়স হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।
যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন।

আপনার পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে Yes দিন আর না থাকলে No, I don’t have any previous/ handwritten passport.
আপনার Present Address ও Permanent Address সঠিকভাবে লিখুন। যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, নিচের বক্সে টিক দিন।

এরপর আপনার পিতা মাতার নাম তাদের জাতীয় পত্র অনুসারে লিখুন। আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে লিখুন।
জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আপনার পরিবারের বাবা, ভাই বা অন্য কারো নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন।
এবার আপনার পাসপোর্টের ধরন, পাতা ও ডেলিভারী সাধারণ বা জরুরী বাছাই করুন।
সবশেষে আপনার সব তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে Submit বাটনে ক্লিক করুন।
ই পাসপোর্ট ফি প্রদান ও আবেদন প্রিন্ট
আপনার আবেদন করা হলে প্রিন্ট করার জন্য আপনি ২টি পৃষ্ঠা পাবেন। 1) Application Summery, 2) Online Registration Form. এগুলো আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা পিডিএফ ফাইল হিসেবে আপনার কম্পিউটারে সেইভ করতে পারেন।
Application summery টি ১ পৃষ্ঠা ও Online Registration form টি উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।
ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন বাতিল করার নিয়ম
অনলাইনে ই পাসপোর্টের আবেদন করা হলে, আপনি নিজে থেকে আবেদন বাতিল করার কোন সুযোগ নেই। আবেদন বাতিলের জন্য আপনি আপনার জেলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন করতে পারেন।
তাছাড়া, আবেদনে কোন প্রকার ভুলের কারণে যদি আবেদন বাতিল করতে চান, তা বাতিল না করলেও পারেন। পাসপোর্ট অফিস থেকে এসব ভুল সংশোধন করে পাসপোর্ট আবেদন এনরোলমেন্টে দিতে পারবে। এজন্য আপনার ভুলের ব্যপারে অফিসে অবগত করুন।
ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম
অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর, আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে তা আপনি অনলাইন থেকেই জানতে পারবেন।
অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়মটি খুবই সহজ। ই পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এখানে- ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক
ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম- MRP to E Passport
যদি আপনার একটি এমআরপি পাসপোর্ট থাকে যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, আপনি এটিকে রিনিউ করে ই পাসপোর্ট পেতে পারেন।
এজন্য রিনিউ করার কোন আবেদন করতে হবেনা, আপনাকে নতুনভাবে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে ID Documents অপশন থেকে শুধু মাত্র আপনার পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য দিবেন।
এমআরপি থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার সুবিধা
MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার বড় সুবিধা হলো, তথ্য পরিবর্তন। অর্থাৎ আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টে যদি কোন তথ্যের ভুল থাকে আপনি সহজেই বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে সঠিক তথ্য ই পাসপোর্টে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবেন।