LATEST POSTS

প্রযুক্তি

প্রযুক্তি, SOCIAL MEDIA, মোবাইল

বিনোদন

বিনোদন

স্নাতকোত্তরে শিক্ষার্থী ভর্তিতে শিক্ষকদের অনাগ্রহ

 

স্নাতকোত্তরে শিক্ষার্থী ভর্তিতে শিক্ষকদের অনাগ্রহ

- মো. লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি:


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এফএসইই) বিভাগে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে বিভাগীয় শিক্ষকেরা অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত স্নাতকোত্তর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যাকোনো বিভাগে ভর্তি যোগ্যতা গ্রেড মান ২ দশমিক ৫ এবং শিক্ষার্থীরা যে বিভাগে ভর্তি হতে চায় ওই বিভাগীয় কোর্সগুলোতে নূন্যতম গ্রেড মান ৩ থাকত হবে। তবে এখন এফএসইই বিভাগীয় শিক্ষকগণ ৩ দশমিক ২৫ গ্রেডমানের নিচে কোনো শিক্ষার্থীকেই ভর্তি নিচ্ছেন না। ফলে এই বিভাগে ভর্তি হতে পারছে না অনেক শিক্ষার্থী।


বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী স্নাতক পর্যায়ে গড় গ্রেড মান ২ দশমিক ৫ এবং ওই শিক্ষার্থী যে বিভাগে স্নাতকোত্তর করতে চায় ওই বিভাগীয় বিষয়গুলোতে গড়ে গ্রেড ৩ থাকতে হবে। এই যোগ্যতা সম্পন্ন যেকোনো শিক্ষার্থীই স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ভর্তি হতে পারবে। স্নাতকোত্তর ভর্তি যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষমতা বিভাগীয় শিক্ষকের হাতে থাকে না। এটি প্রশাসনিক বিষয়। সাধারণত একজন সুপারভাইজার নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য আবেদন করে। তবে কোনো শিক্ষক যদি কোনো ছাত্রকে তার গবেষণায় সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী না হন সেটি ওই শিক্ষকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ একজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে স্নাতকোত্তর ভর্তির যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় সেখানে বলা হয়েছে গড় গ্রেড মান ২ দশমিক ৫ আর বিভাগীয় বিষয়ে ৩ থাকলে স্নাতকোত্তরে আবেদন করা যাবে। পরবর্তীতে ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হতে গিয়ে জানতে পারলাম যে ওই বিভাগে ভর্তির জন্য ৩ দশমিক ২৫ গ্রেড মান লাগবে। বিভাগীয় শিক্ষকেরা নাকি আগেই আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানানো হয় নি।


এসময় ওই শিক্ষার্থী আরো বলেন, ওই বিভাগীয় শিক্ষকেরা আগে থেকেই শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য নিরুৎসাহিত করে আসছেন। কারণ হিসেবে বলেছেন, "আমাদের মানসম্মত শিক্ষার্থী প্রয়োজন।"


এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ফার্ম স্ট্রাকচার অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ জানান , শিক্ষার্থীরা চাইলেই আমাদের এই বিভাগে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে সুপারভাইজার হিসেবে বিভাগের সকল শিক্ষকই ৩ দশমিক ২৫ গ্রেড না থাকলে শিক্ষার্থী নিতে চান না। মূলত কম গ্রেডধারী শিক্ষার্থীদের কাজের ক্ষেত্রে তাদের থিথিসের মান খুবই নিম্ন হয়। এজন্য শিক্ষকেরা ওইসকল শিক্ষার্থীদের নিতে আগ্রহ দেখান না। নিজস্ব মানদণ্ডের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী বাছাই করার এখতেয়ার একজন সুপারভাইজারের আছে। শিক্ষার্থীরা যদি তাদের সুপারভাইজারদের রাজি করাতে পারে তাহলে তাদের ভর্তিতে কোনো প্রকার বাধা নাই।

বাকৃবিতে বিএনপি সমর্থকদের ছাত্রলীগের মারধর

 

বাকৃবিতে বিএনপি সমর্থকদের ছাত্রলীগের মারধর

- মো. লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি:


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সমর্থকদের মারধর ও গেঞ্জি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় ও কে. আর মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর ৩ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।


জানা যায়, আজকে সরকারের পদত্যাগ ও সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ অভিমুখে বিএনপির রোড মার্চ শুরু হয় দুপুরে।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোড মার্চের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান ও রোর্ড মার্চে অংশ গ্রহণের জন্যে বিএনপি সমর্থকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ রাস্তা ব্যবহার করে। অনেকে উদ্বোধন শেষে বাসায় ফেরার সময়ও একই রাস্তা ব্যবহার করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ আগে থেকেই অবস্থান নেয় সেই সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিএনপি সমর্থক সন্দেহ হলেই শুরু করে মারধর। যে কোনো মোটরসাইকেল গেলেই থামানো হচ্ছে। চেক করা হচ্ছে মোবাইল ফোন। বিএনপি সমর্থিত কিছু পেলেই মারধর শুরু। রোডমার্চ উপলক্ষে তৈরি করা গেঞ্জি, ক্যাপ ও প্ল্যাকার্ড দেখলেও মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মারধর করে। পরে গেঞ্জি পোড়ানো হয়। তবে অনেক সাধারণ যাত্রীও এসময় ভোগান্তির শিকার হয়েছে বলে জানান তারা।



বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. আতিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের একটি গাড়ির বহর বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে প্রবেশ করলে উৎ পেতে থাকা ছাত্রলীগ তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় গাড়ি বহর থেকে চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক শাজাহান শাওন সহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়।



এ বিষয়ে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান বলেন, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে এসে সরকার বিরোধী উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির পায়তারা করে। তারা ক্যাম্পাসের কেউ না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্যে আমরা সেটি অবশ্যই প্রতিহত করবো।


 


বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আজহারুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে মোটরসাইকেল ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে শো-ডাউন দেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা তাদের বাঁধা প্রদান করে । এতে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হলে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

বাকৃবিতে ৪ কোটি টাকার গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী

বাকৃবিতে ৪ কোটি টাকার গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী


- মো. লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি:



বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সিটি ব্যাংকের অনুদানে ৪ কোটি টাকার ৩ বছর মেয়াদী ২২টি গবেষণা প্রকল্পের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে 'সিটি ব্যাংক অর্থায়নে গবেষণা এবং উদ্ভাবনী উপ-প্রকল্পসমূহ' শীর্ষক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর এবং সিটি ব্যাংকের বাণিজ্যিক ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গনি।



অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে অধ্যাপক ড. চয়ন গোস্বামী বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো সিটি ব্যাংক তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার আওতায় কৃষিক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়নের জন্যে গবেষণা অনুদান দিয়েছে। যা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। সম্পূর্ণ অনুদানের অর্থ হাওর অঞ্চলের কৃষি সেক্টরের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। হাওরের প্রধান সমস্যার মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়, প্রাকৃতিক দূর্যোগ, আকস্মিক বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি, ফসলের উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া এবং দুর্বল বাণিজ্যিক সমন্বয় ও মূল্য সংযোজন। উন্নত পানি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তার জন্যে কৃষির উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও জলাশয় ব্যবস্থাপনা, উন্নত বাহ্যিক অবকাঠামো এবং প্রযুক্তি ও উদ্যোগের উন্নয়নের মাধ্যমে কৌশলগতভাবে হাওর অঞ্চলের কৃষি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সম্ভব হবে। আমাদের গবেষকগণ হাওরের ৭টি অঞ্চলেই গবেষণার মাধ্যমে সেই অঞ্চলের কৃষিক্ষেত্রের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখবেন।


উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনটি টেকনিক্যাল সেশনে মোট ২২ টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়।



উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের হাওর অঞ্চলে রয়েছে অগণিত সম্পদ। যা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। পাশাপাশি হাওড়কে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের খাদ্যসংস্থানের পেছনে প্রধান কান্ডারি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বাকৃবি। ডাচ বাংলাও কৃষি গবেষণায় এগিয়ে এসেছে। ব্র্যাক ব্যাংকও কিছু আর্থিক সহায়তা দিবে। আমি অন্যান্য ব্যাংকগুলোকেও আহবান জানাই শিক্ষা ও গবেষণায় তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি এই প্রকল্পের ফলাফল দেশের কাজে লাগবে। স্কোপাস ইন্ডেক্সে আগামী দুই বছরের মধ্যেই গবেষণাপত্র প্রকাশ হবে।

 


বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, শস্যের জাতের বৈচিত্র্যতায় বাংলাদেশ এক নম্বর বলা যায়। গবেষণার মাধ্যমে বাকৃবি দেশের জন্যে অনেক কিছুু করেছে জন্যে আমরা গর্ববোধ করি। বিশ^ পর্যায়ের গবেষণার জন্যে আমাদের আরও গবেষণামুখী হতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্যে গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। পিএইচডির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত করতে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেলোশিপের ব্যবস্থা করলে তারা গবেষণায় সময় দিবে। এক্ষেত্রে গবেষণার মানোন্নয়ন হবে।

ভারতে চিকিৎসারত অবস্থায় বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

 

ভারতে চিকিৎসারত অবস্থায় বাকৃবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

- মো. লিখন ইসলাম, বাকৃবি প্রতিনিধি,


কিডনী বিকল, ফুসফুসে ইনফেকশন এবং লিভারে হেপাটাইটিস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী মোবাশ্বের হোসেন মারা গেছেন।


শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে ভারতে চেন্নাইয়ের ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেটেরিনারি অনুষদের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।


জানা যায়, মোবাশ্বের হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের আবাসিক এবং ভেটেরিনারি অনুষদের সার্জারী ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাট জেলায়। মেধাবী শিক্ষার্থী মোবাশ্বের সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। মোবাশ্বেরকে বাঁচানোর জন্যে শিক্ষার্থীরা তাদের স্টাইপেন্ডের টাকা দিয়ে যথাসাধ্য সহায়তা করে।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কিডনি বিকল জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন মোবাশ্বের।  সেই সাথে লিভারে হেপাটাইটিস বি ও সি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রথমে বাংলাদেশে এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ভারতে ভেলোর সিএমসি হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভারতে চিকিৎসারত অবস্থায় আজ হঠাৎ করেই মোবাশ্বের শারীরিক অবস্থা চূড়ান্তভাবে খারাপ হয়।  শেষ পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়।


মোবাশ্বেরের ছোট বোন আশেফা ইতির ৭ ঘন্টা আগে দেওয়া ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, গত ২৭ তারিখ আইসিইউতে  নেওয়ার পর অবস্থা একটু ভালো হয়। কিন্তু শ্বাসকষ্ট ও প্রেসার লো এই অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। শ্বাসকষ্টের জন্য ভেন্টিলেটর লাগানো ছিল এবং প্রেসারের জন্য মেডিসিন। সমস্যা হল শ্বাস অক্সিজেনের মাধ্যমে নেয় কিন্তু ছাড়তে পারে না। বাতাস ভিতরে জমা থাকে। সেই জন্য আবার বুকের বাম পাশে ফুটো করে বাতাস বের করার ব্যবস্থা করা হয়। সবগুলো মেশিনের মাধ্যমে চলে। নিজে থেকে সম্পূর্ণভাবে শ্বাস নিতেও পারে  না ছাড়তে ও পারে না। চিকিৎসকরা অনুমান করে ফুসফুসে সমস্যা,তারপর সিটি স্ক্যান করলে  কিডনি সমস্যা তো আছেই লিভার  (হেপাটাইটিস) হার্ট দুর্বল (হার্ট রেট হাই) ২টা ফুসফুস ইনফেকশন (যক্ষা ১০০%,আগে ছিল না, এর আগে ও টেস্ট করাইছিলাম ) অর্থাৎ তার কোন অঙ্গ কাজ করছে না, যা করছে সব মেশিন। গতকাল সন্ধ্যা থেকে  কোন কথা বলে না, দেখে  না। 

কুবি শিক্ষার্থীদের "স্বাস্থ্য বাতায়ন" ক্যাম্পেইন

 

কুবি শিক্ষার্থীদের "স্বাস্থ্য বাতায়ন" ক্যাম্পেইন

- অন্তর, কুবি প্রতিনিধি।


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাংলাদেশ সরকারের পরিচালিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের "স্বাস্থ্য বাতায়ন" নিয়ে ক্যাম্পেইন করেছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, শিক্ষার্থীরা ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সালমানপুর, বিজয়পুর, কোটবাড়ি সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে স্কুল, দোকান,বাড়ি, মসজিদে এ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন। 

কুবি শিক্ষার্থীদের "স্বাস্থ্য বাতায়ন" ক্যাম্পেইন

শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমান আধুনিক যুগ। এ যুগে মানুষ যে ঘরে বসে চিকিৎসা সেবা নিতে পারে কিন্তু তা অনেক মানুষ জানে না। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের যে স্বাস্থ্য বাতায়ন আছে তা নিয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে ক্যাম্পেইন পরিচালনা  করেছি। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য বাতায়নে ১৬২৬৩ নাম্বারে কল দিয়ে যে কেউ স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারে। সেখানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা পরামর্শ সহ ওষুধ মেসেঞ্জারের মাধ্যমে রোগীর মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়।


শাহেনা আক্তার (৪৫) বলেন, এত সহজে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায় তা আগে জানতাম না। আমি নানান অসুখে ভুগি। আমার প্রতি মাসে ১২-১৫ হাজার টাকার অষুধের পিছনে ব্যয় হয়। তার সাথে ডাক্তারের ফি তো আছেই। আপনারা আমার বড়ই উপকার করলেন। এছাড়া আমি বিষয়টি গ্রামের সবাইকে বলবো।


উল্লেখ্য, পাবলিক রিলেশন'স কোর্সের অংশ হিসেবে  শিক্ষার্থীরা এ ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন।

নোবিপ্রবি

nstu

হাবিপ্রবি

হাবিপ্রবি

বাকৃবি

বাকৃবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

সরকারি চাকরি

সরকারি চাকুরির বিজ্ঞপ্তি

বেসরকারি চাকরি

বেসরকারি চাকরি বিজ্ঞপ্তি

অনলাইন ইনকাম

অনলাইন ইনকাম

অন্যান্য

অন্যান্য
© all rights reserved
made with by wikibangla.net